ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা - ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম ।

ড্রাগন ফল হচ্ছে ক্যাকটাস জাতীয় ফল। এই ফল অনেক জনপ্রিয় একটা ফল যেটা বাংলাদেশ প্রত্যেকটা জায়গায় পাওয়া যায়। আমরা এই ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা না জেনেই ফলটি খেয়ে থাকি।তো আজকের পোস্টটি হতে চলছে এই ড্রাগন ফলের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা - ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম ।
এই ফলটি হল বিদেশি ফল। ফলটি বিদেশি হলেও এই ফলে অনেক পুষ্টিগুনে ভরা একটি ফল। পুষ্টি গুনাগুন এই ফলটি দেখতে লাল রংয়ের হয়ে থাকে। ড্রাগন ফলে রয়েছে বিপুল পরিমাণে পুষ্টির পরিমাণ যেটা মানব দেহের জন্য অনেক। উপকারে সহায়তা করে থাকে।ড্রাগন ফলে ক্যালরির পরিমাণটা কম থাকে তবে অন্যান্য ভিটামিন জাতীয় সমস্যা দূর করে ফলটি খাওয়ার উপকারিতা বলে শেষ করার মত নয়।

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আশা করি ভাল আছেন আজকে আমি যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হল ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। এবং ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা আমার এই পোস্টটি পড়তে থাকলে অনেক কিছুই জানতে পারবেন। যেগুলা হয়তোবা আপনাদের অজানা তথ্য। আমি অজানা তথ্য টাই জানানোর জন্যই পোস্টটি লিখেছি কষ্ট করে পোস্টটি সম্পন্ন করবেন তাহলে অনেক কিছু জানতে পারবেন।

ড্রাগন ফল খেলে কি কি উপকার হয়?

দেহের পুষ্টি গুণ সমৃদ্ধ এই ফলটি শরীরের ঘাটতিপূর্ণ এর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ক্যান্সারের মতো ভয়ানক রোগ থেকে এই ফলটির উপকারে আসবে বলে থাকে। এবং ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে এই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফলটি দিনের পর দিনই বাংলাদেশের চাহিদা বেড়েই চলছে।

বাংলাদেশের আবাদি জমিগুলোতে এখন ড্রাগনের চাষ হয়ে থাকে এবং এটি চাষ করে অনেক চাষী লাভবান হচ্ছে। সুস্বাদু এই ফলটি কেটে খাওয়ার পাশাপাশি মিল্ক সেক করে খাওয়া যায়। ড্রাগনে রয়েছে প্রচুর আ্যন্টিঅক্সিডেন্ট। আ্যন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় অকালে বুড়িয়ে যাওয়া এবং ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে।


তাই যারা হজমের সমস্যায় বা পেটের অসুখে ভুগছেন তারা নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে উপকার পাবেন। কারন ড্রাগন ফল আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।

ড্রাগন ফল দিনে কতটুকু খাওয়া উচিত

ড্রাগন ফলটি সুন্দর করে পরিষ্কার করে একটি পাত্রে রাখুন। পাকা হলে, খোসা থেকে মাংস সহজে আলাদা হয়ে যাবে। এবার ড্রাগন ফল খান। এটিকে সরাসরি চামচে তুলে মুখে পুরে দিন। খেতে দারুন লাগবে ড্রাগন ফল ফ্রিজে রেখে তারপর কেটে খান দারুন স্বাদ পাবেন। ড্রাগন ফলের চামড়া বা উপরের 

রঙিন খোসা খাবেন না এতে করে ক্ষতি হবে।ড্রাগন ফল দিয়ে কতটুকু খাওয়া যাবে এ নিয়ে আমাদের অনেকের প্রশ্ন থেকে থাকে। তবে এতে কোন ধরা বাধা নিয়ম নেই। আপনি ম্যাক্সিমাম সময় খেতে পারবেন এবং এটার উপকারিতা খুব অনেক বেশি।

ড্রাগন ফল খেলে কি রক্ত হয়

একটা সময় ড্রাগন ফল অপরিচিত হলেও এখন বেশ পরিচিত একটি ফল লাল টকটকে দেখতে এই ফলটি সুস্বাদু খেতে নানা যুক্ত ফলটি সবারই পরিচিতি লাভ পেয়েছে। বিদেশের ফলটি স্বাস্থ্য প্রবাহিত বলে শেষ করা যাবেনা ভিটামিন সি যুক্ত এই ফলটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।আর এটি বিশেষ করে রক্তশূন্যতা দূর করে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়তা করে ।


একটা গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাদ্য হৃদরোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং আর্থ্রাইটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। এই ড্রাগন ফলটি অবশ্যই প্রত্যেকেরই খাওয়া উচিত সুস্থতা এবং রক্তশূন্যতা দূর করার ক্ষেত্রে। এই ফলটি ছোট বড় এবং বৃদ্ধ বয়সী সবাই খেতে পারে।

ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময়

ড্রাগন ফল ভিটামিন সি এবং বেটালাইন সহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভান্ডার। ভিটামিন সি শ্বেত রক্ত কণিকার উৎপাদন ও কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য, সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরের প্রাথমিক প্রতিরক্ষা। টি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার সাথে সাথে ক্যালোরি এবং চর্বি কম, পূর্ণতার অনুভূতি প্রচার করে।

পুষ্টি উপাদানের ভরপুর ফল যে রকম স্বাস্থ্যের জন্য উপকার এবং এটার সঠিক কিছু নিয়ম আছে। যেটা নিয়ম মেনে যদি আমরা ফল খেতে পারি সে ক্ষেত্রে শরীর মন দুটোই ভালো থাকে। কথায় আছে না যে, খালি পেটে জল আর ভরা পেটে ফল। নিয়মিত ফল খেলে রোগ বালাই কম হয় রাতের বেলায় ফল খাওয়া কোনভাবেই সঠিক সময় নয় এতে করে নানা জটিলতায় পড়তে হতে পারে ।

ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা

আমরা অনেকেই ড্রাগন ফলের খসার উপকারিতা জানিনা যার কারণে ড্রাগন ফল খেয়ে আমরা খোসা ফেলে দিয়ে থাকি। আমরা যদি জেনে যাই অনেক অভাব পূরণ হবে যে ড্রাগন ফলে খোসার কত উপকারিতা রয়েছে। আড়াইশো গ্রাম পানি নিতে হবে যা ফুটন্ত পানি হতে হবে। এরপর ড্রাগন ফলের খোসা কুচি কুচি করে কেটে পানির সঙ্গে মিশিয়ে ফুটন্ত অবস্থায় জাল দিতে হবে।

পানি এমন ভাবে জাল দিতে হবে যাতে করে ৭ মিনিট পর দেখতে পারবেন পানিটির লাল বর্ণ ধারণ করেছে। তারপর খোশাগুলো ফেলে দিতে হবে আর পানির যেটি লাল বর্ণ সেটি খেতে হবে । খেতে অনেকটা জুসের মতো মনে হবে চাইলে এখানে একটু লবণ যুক্ত করতে পারেন।


আপনার যদি ডায়াবেটিস এর কোন সমস্যা থাকে তাহলে আপনি খাবেন, আপনি হূদরোগ কোন সমস্যা থাকে তাহলে আপনি এটি সেবন করতে পারেন। যার ফলে অত্যধিক উপকার পাবেন। এই জুস খাওয়ার পর আপনারা দেখতে পারবেন 7 দিনের মধ্যে আপনাদের ওজন কিভাবে ধীরে ধীরে কমতেছে ।

এটি দেখে আপনারা অবাক হয়ে যাবেন। এটি নিয়মিত সাত দিন খান তাহলে এতে আপনার চুল পড়া রোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। ড্রাগন খোসা আপনার দুটি কারণে খেতে পারেন একটি হচ্ছে অতিরিক্ত মেদ বা ভুঁড়ি বা ওজন। আপনার যদি ঐ জন্য সমস্যা থাকে তাহলে আপনারা এটি খাবেন।

শেষ কথা

আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে। আমি ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম ইনফরমেশন গুলো সঠিক দেওয়ার চেষ্টা করেছি।যদি ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে। ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন আর পোস্টে যদিও ভালো লাগে তাহলে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন আপনার পরিচিতদেরকে আমার ওয়েবসাইটের লিংকটি শেয়ার করবেন যাতে করে এরকম ভালো ভালো আপডেট আপনাকে দিতে পারি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এনকোয়ারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url