সালামের উপকারিতা - উত্তর কি ইশারায় দেওয়া যাবে ?

সালামের উপকারিতা উত্তর কি ইশারায় দেওয়া যাবে। এই নিয়ে আমাদের অনেক প্রশ্ন থেকে থাকে। তো এই সঠিক ব্যবহারটা আমরা জানি না অনেকে। আসুন আমরা এই আর্টিকেলটা পড়ে আমরা আমাদের সঠিক নিয়ম কানুন গুলো জেনে নেই। ও অন্যকে জানার জন্য সহযোগিতা করি।
সালামের উপকারিতা - উত্তর কি ইশারায় দেওয়া যাবে ?
সম্মানিত ভাই ও বোনেরা, সালাম দেওয়া সুন্নত উত্তর নেওয়া ওয়াজিব। আমাদের অধিকাংশ মানুষেরই সালামের উত্তর সঠিক ভাবে না জানার কারণে যে উত্তর দিচ্ছে এবং নিচ্ছেন অজান্তে ভুল হয়ে যায়।আবার উত্তর দেওয়ার সময় ও শোনা যায় ভুল শব্দের ব্যবহার। যেমন অলাইকুম সালাম ওয়ালাইকুম আস - সালাম ইত্যাদি। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।

ভূমিকা 

একটি পূর্ণাঙ্গ স্বয়ংসম্পূর্ণ ভারসম্পন্ন জীবন ব্যবস্থার নাম ইসলাম। একজন মানুষের ব্যক্তিগত পারিবারিক সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সহ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে করণীয় বিধি-বিধান সম্বলিত যে ধর্ম তার নাম হলো ইসলাম। ব্যক্তি জীবনে পরস্পর আলাপ-আলোচনা দেখা-সাক্ষাৎ যোগাযোগ মানবজীবনে অতি প্রয়োজনীয় অংশ এই দেখা সাক্ষাৎ সম্পর্কে উন্নয়ন বিরাট অবদান রাখে।


প্রত্যেক ধর্মের জাতির নিজস্ব আলাদা আলাদা সম্ভাষণ জানানোর পদ্ধতি ধরন ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। আল্লাহ তাআলার সর্বপ্রথম আদম আ:কে সালামের শিক্ষা দেন। তিনি আদমকে সৃষ্টি করে ফেরেস্তাদেরকে সালাম দিতে বলেন। 

সালামের উপকারিতা ফজিলত

সালাম দেওয়া নেওয়া নবী রাসুলের সুন্নত যা আদম আ: থেকে শুরু হয় কিয়ামত পর্যন্ত বলবৎ থাকবে । সালাম দিলে আপনি যে সওয়াব পাবেনমেশকাতে বর্ণিত আছে, একবার এক ব্যক্তি রাসুলের (সা.) নিকটে এসে বললেন, আসসালামু আলাইকুম। তখন তিনি বললেন, লোকটির জন্য ১০টি নেকি লেখা হয়েছে। এরপর আরেক ব্যক্তি এসে বললেন, ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

আল্লাহর রাসুল (সা.) তার জওয়াব দিয়ে বললেন, তার জন্য ২০টি নেকি লেখা হয়েছে। এরপর আরেক ব্যক্তি এসে বললেন ওয়া বারাকাতুহু। রাসুল (সা.) তারও জওয়াব দিয়ে বললেন, লোকটির জন্য ৩০টি নেকি লেখা হয়েছে। সালামের ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে রাসুল (সা.) বলেন, যখন দুজন মুসলমানের 

মধ্যে সাক্ষাৎ হয়, সালাম-মুসাফাহা (হ্যান্ডশেক) করে তখন একে অপর থেকে পৃথক হওয়ার আগেই তাদের সব গুণাহ মাফ করে দেওয়া হয়। এছাড়া সালামের মাধ্যমে পরস্পরের হিংসা-বিদ্বেষ দূর হয়। অহঙ্কার থেকেও বেঁচে থাকা যায়। সর্বত্র সালামের মাধ্যমে সৃষ্টি হবে একে অপরের মধ্যে ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য।

সালামের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

সালামের ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে রাসুল (সা.) বলেন, যখন দুজন মুসলমানের মধ্যে সাক্ষাৎ হয়, সালাম-মুসাফাহা (হ্যান্ডশেক) করে তখন একে অপর থেকে পৃথক হওয়ার আগেই তাদের সব গুণাহ মাফ করে দেওয়া হয়।এছাড়া সালামের মাধ্যমে পরস্পরের হিংসা-বিদ্বেষ দূর হয়। সালাম মূলত একটি আরবি শব্দ এর অর্থ শান্তি, প্রশান্তি, কল্যান, দোয়া, শুভকামনা ইত্যাদি।


সালামের অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে যা বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত রয়েছে। সেগুলো ধারাবাহিকভাবে আলাপ আলোচনা করা হবে। সালাম হলো শান্তির বার্তা বোঝানো আল্লাহ তাআলা বলেন অতঃপর যখন তোমরা ঘরে প্রবেশ করো তখন তোমাদের স্বজনের প্রতি সালাম দিবে । 

সালামের উপকারিতা

সালাম দিলে অহংকার দূর হয় যে প্রথমে সালাম দিল সে জন্য অহংকার মুক্ত থাকল । সালামের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবেনা সালাম উপকারিতা ও ফজিলতপূর্ণ একটি বিষয় যা মানব কল্যাণের জন্য খুবই কল্যাণকর।

খাওয়ার সময় সালাম দেওয়া বা নেওয়া যাবে কি ?

খাওয়ার সময় সালাম দিলে সেটি নেওয়া যাবে এতে কোন ক্ষতি হবে না। সালাম দেওয়ার ক্ষেত্রে একটু খেয়াল করে তার পরিস্থিতির বুঝে সালামের হক আদায় করা উচিত। যে সকল ক্ষেত্রে সালাম দেওয়া বা নেওয়া ঠিক হবে না আর যেমন ওযু করার ক্ষেত্রে তারপরে হচ্ছে কেউ টয়লেটে আছেন সেক্ষেত্রে

সালাম আদান প্রদান করা ঠিক নয় আল্লাহতালার নাম উল্লেখ থাকে।এরকম আরো কিছু জায়গা আছে যেগুলোতে সালাম দেওয়া ঠিক নয় যেমন আপনি এমন কাউকে সালাম দিচ্ছেন সে ডিস্টার্ব হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ হিসাব করছে। কেউ ভারী কোন কিছুই বহন করছে মাথার উপরে এ সময় সালাম দিবেন না তার সালামের উত্তর দিতে অনেক কষ্ট হবে।

ইশারায় কি সালামের উত্তর দেওয়া যাবে?

ইশারায় কি সালামের উত্তর দেওয়া যাবে কিনা। এই নিয়ে আমাদের অনেকেরই অনেক প্রশ্ন থেকে থাকে এখন আমরা সঠিক নিয়মটা জেনে নেই । এবং অন্যকে জানানো সুযোগ করে দিব। উচ্চস্বরে, সুন্দরভাবে কোমলকণ্ঠে সালামের উত্তর দেওয়া উত্তম। তবে হ্যাঁ, কেউ যদি নিরবে চুপে চুপে সালামের উত্তর দেয় তবে সালামের উত্তর দেওয়ার ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে।

তবে এতে সালামের মূল উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ হয় না।কেননা কোরআন-সুন্নায় সালাম বিনিময় উত্তম ও ‍সুন্দরভাবে দেওয়ার বিষয়টি সুস্পষ্ট। সালামের সওয়াব সম্পর্কে আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা ঈমানদার না হওয়া পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।


আর যতক্ষণ না তোমাদের পারস্পরিক ভালোবাসা গড়ে উঠবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা প্রকৃত ঈমানদার হতে পারবে না।মানুষ হত সামাজিক জীব তো সমাজে বসবাস করতে হয় ছোট বড় গরিব মিসকিন আর সব ধরনের মানুষের সাথে চলতে হয় তো।

সালাম এমন একটি বিষয় যেটি ধনী গরিব বলতে কোন বাধা নিষেধ নেই।সালামের মাধ্যমে সমাজে ছড়িয়ে পড়ে শান্তি-সম্প্রীতির আলো। যাতে রয়েছে আল্লাহ তা’আলার নিকট অবারিত শান্তি, অফুরন্ত রহমত ও বরকত লাভের অনন্য আবেদন। 

সালাম বিনিময় সম্পর্কিত আদব 

  •  অন্য কথা না বলে আগে সালাম দেওয়া এটিই উত্তম।
  • পথচারীকে আরোহী ব্যক্তি, দাড়ানো ব্যক্তিকে পথচারী, অবস্থানকারীকে আগন্তক, অধিক সংখ্যককে কমসংখ্যক এবং অধিক বয়সীকে কম বয়সী কর্তৃক আগে সালাম দেওয়া উত্তম। 
  • একাধিক ব্যক্তি সম্মিলিতভাবে অবস্থানকালে তৎমধ্য থেকে একজন সালাম দিলে সকলের পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যাবে। 
  • সম্মিলিতভাবে অবস্থানরতদের উদ্দেশ্যে সালাম দিলে তৎমধ্য থেকে একজন জবাব দিলে সকলের পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে। 
  • সালামের জবাব সালাম দাতাকে শুনিয়ে দেওয়া। 
  • সালাম বিনিময়কালে হাত কপালে না ঠেকানো এবং মাথা না ঝুকানো। 
  • খালিঘরে প্রবেশকালে ‘আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল বাইত’ পড়া।

সালামের উপকারিতা ইশারায় দেওয়া যাবেঃ শেষ কথা 

সালামের উপকারিতা উত্তর কি ইশারায় দেওয়া যাবে। বিষয়গুলো পড়ে আপনারা অবশ্যই সঠিক বুঝতে পেরেছেন আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এনকোয়ারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url